বাংলাদেশে পুরনো চাল গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লাল আউস চাল। মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং ঝিনাইদহ অঞ্চলে এই আউশ ধানের আবাদ চলে আসছে অনেক আগের থেকেই।
“চালওয়ালা”র লাল আউস চাল কেন খাবেনঃ–
১/কৃষক পর্যায়ে ধানের খেতে সর্বোচ্চ জৈব সারের ব্যবহার।
২/উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকারক কীটনাশকের ব্যবহার মুক্ত।
৩/সরাসরি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কৃষক হতে বাছাইকৃত ধান থেকে চাল করা হয়েছে।
৪/নিজস্ব চাতাল ও মিল হতে চাল উৎপাদন ও সরবরাহ।
৫/গ্রামের হাস্কিং মিলে ভাঙানো স্বাস্থ্যসম্মত চাল।
৬/ফাইবার সমৃদ্ধ পুষ্টিগুন সম্পন্ন চাল।
৭/ক্ষতিকর ইউরিয়া সার, মোম পলিশ , ব্রাইটনার, কংকর, লাল, মরা ও স্যালাইন পানি মুক্ত।
৮/উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং প্যাকেজিংয়ে নিজস্ব তদারকি।
৯/শতভাগ ভেজালমুক্ত ও খাঁটি চাল।
১০/সারা বছর চালের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য আমারা পর্যপ্ত ধান নিজস্ব গোডাউনে মজুদ রাখি।
১১/সঠিক ব্যবস্থাপনা আর মধ্যস্বত্তভোগী না রেখে আমরা চেষ্টা করছি দামটাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে।
লাল আউস চালের পুষ্টিগুনঃ–
1/ চালে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা একত্রে হাড়ের গঠন ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। অস্টিপোরোসিস নামক হাড় ক্ষয়ের রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যা রক্তে মিনারেলের পরিমান কমিয়ে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম আয়ন মাথাব্যথা কমায়।
2/ এই চালে উপস্থিত ভিটামিন১ বেরিবেরি রোগ প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
3/ অপরদিকে ভিটামিন বি৬ আমাদের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে ও সেরাটোনিন এবং নরএপিনেফরিন নামক হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে যা আমাদের মুড নিয়ন্ত্রন করে।
4/ আউস চালে উপস্থিত আয়রন লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। হিমোগ্লোবিনের জন্যই রক্ত লাল দেখায়। কখনো কল্পনা করেছেন হিমোগ্লোবিন ছাড়া রক্ত আসলে কেমন দেখায়?
5/ এতে উপস্থিত জিংক ও ম্যাংগানিজ রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে ও কোথাও ক্ষত হলে সেটি সারাতে ভূমিকা পালন করে।
6/ এই চালে রয়েছে নানান ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যেমন অ্যান্থোসায়ানিন। অ্যান্থোসায়ানিন দেহে ফ্রি র্যাডিকেল কমাতে সাহায্য করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুকি কমে যায়। এছাড়া এই অ্যান্থোসায়ানিন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি এজিং এর প্রভাব কমায়, সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভোয়োলেট রশ্মি হতে ত্বককে রক্ষা করে ও ত্বকের সোরিয়াসিস নামক রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
7/ এতে উপস্থিত সেলেনিয়াম ও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এটিও ফ্রি র্যাডিকেল কমাতে সাহায্য করে।
8/ এছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন বি২ আমাদের বিপাকীয় ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ও শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। তাই বলা চলে, এই চাল আসলেই মানবদেহের জন্য খুব উপকারী।
9/ লাল আউস চালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন থাকায় গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য খুবই উপকারী।
অতিরিক্ত ডেলিভারী চার্জ ( Dhaka জেলা): 50
অতিরিক্ত ডেলিভারী চার্জ (অন্য জেলা): 150